ধর্ম পর্ব
১. ঈশ্বর বন্দনা
|
|
|
|
১.
|
“অ” হল অক্ষ্ররমালার
প্রথম অক্ষর-তেমনি
ঈশ্বর হল জগতের আধার | |
|
|
২.
|
পন্দিতের পাণ্ডিত্যে কি প্রোয়োজন-যদি সে
জ্ঞানরূপি ঈশ্বর করে না পূজন | |
|
|
৩.
|
পদ্মফুলে যে
ঈশ্বরের আসন-লাভ করলে
তার হয় দীর্ঘায়ু জীৱন | |
|
|
৪.
|
চাওয়া না-চাওয়ার বন্ধন যার নেই-ধরল
তার চরনে কখনো দুঃখ নেই | |
|
|
৫
|
ঈশ্বরের সার্থক গুন গায়
যে করে থাকে-মুক্ত সে
দ্বিবিধ কর্মের মোহ্জাল থেকে | |
|
|
৬.
|
জিতেন্দ্রিয়-নির্দিষ্ট সত্যপথ-তার অনুসরণে
দীর্ঘায়ু নিশ্চিত | |
|
|
৭.
|
নিরুপমের পদ পায় নি যারা-তাদের
পক্ষে
অসম্ভব ভবসাগর তরন | |
|
|
৮.
|
ধর্মসাগর ঈশ্বরের য়ে পায় নি চরন-তার পক্ষে
অসম্ভব ভবসাগর তরন | |
|
|
৯.
|
যারা মাথা নত নয়
ঈস্পিতগুণবিশিষ্টের চরনে-থেকে
না
শৄঙ্খ্লা তার ইন্দ্রিয়গুলির আচরনে || |
|
|
১০.
|
ঈশ্বরকে আশ্রয় যে করে-শুধু সেই
ভবসাগর পার করতে পারে |
বি.দ্র.
৫. দ্বিবিধ কর্ম-সত্কর্ম এব্দুষ্কর্ম
২. বর্ষা স্তুতি
|
|
|
|
১১.
|
বর্ষা লোককে করে জীৱন দান-তাই
বুঝবে তা হল সুধা সমান | |
১২.
|
জীবের খাদ্য করে সৃষ্টি-আবার
নিজেই খাদ্য হয়ে যায় বৃষ্টি | |
১৩.
|
নিয়মমত না হলে বৃষ্টি-পিড়িত হবে
ক্ষুধায় জীৱসমপ্তি | |
১৪.
|
স্তম্ভিত হয়ে
যায় কৃষ্টি-যদি
বন্ধ হয় বৃষ্টি | |
১৫.
|
বৃষ্টি করে সাময়িক ক্ষতিসাধন-আবার
সেই করে ক্ষতিপূরন | |
১৬.
|
যদি না পড়ে বৃষ্টির কন-গজায় না
এতটুকু তৃণ | |
১৭.
|
সাগরও বিকারগ্রস্ত হয়-যদি না মেঘ
তার শোষিত জল ফিরিয়ে দেয় | |
১৮.
|
দেৱপূজা আর উত্সব বন্ধ হয়-য়দি
আকাশ শুকিয়ে যায় | |
|
|
১৯.
|
দান-তপস্যার ঘতে
অবসান-বন্ধ হয়-য়দি
আকাশের অবদান | |
|
|
২০.
|
জল বিনা জগ অচর-তাই
মানুস-চরিত্র বৃষ্টি-নির্ভ্র | |
|
|
৩. ত্যাগীদেৱ মহিমা
|
|
|
|
২১.
|
ত্যগীজনের
মহিমা অপার-ঘোষনা করে
একেথাই শাস্ত্রসম্ভার | |
২২.
|
ত্যগীদের
মহিমা বর্ননা-অসম্ভব তা
যেমন মৃতদের গননা | |
২৩.
|
যে ত্যাগী
হয় জেনে দ্বিবিধ লোকের প্রকৃতি-উজ্বল
তার মহিমায় এই পৃথিবী | |
২৪.
|
জ্ঞান
দিয়ে পঞ্চেনন্দ্রিয় যে করে নিযন্ত্রন-তার
স্বর্গের বীজরূপে হয় গনন | |
২৫.
|
জিতেন্দ্রিয়ের
মহিমার সাক্ষ্য-দেয়
স্ব্য়ং সহস্রাক্ষ্য | |
২৬.
|
মহাত্মা অসম্ভবকে করতে পারে সম্ভব-তা করা ক্ষুদ্রের পক্ষে অসম্ভব | |
২৭.
|
শব্দ-স্পর্শ-রূপ-গন্ধের
জ্ঞান যার আয়ত্ত-তার
সমস্ত পৃথিবী হস্তগত | |
২৮.
|
সত্যনিষ্ঠ লোকের মহিমা অপার-বেদ
জয় করে ঘোষণা তার | |
|
|
২৯.
|
নিরাসক্তির চূড়ায় যার অবস্থান-তার
সমস্ত পৃথিবী হস্ত্গত | |
|
|
৩০.
|
সবর্জীবে যে দয়াবিশিষ্ট-সেই
প্রকৃত ধর্মিকশ্রেষ্ঠ | |
বি.দ্র.
৩. দ্বিবিধ লোক-ইহলোক এবং পরলোক
৫. ঋষি গৌতম কত্তৃর্কি ইন্দ্রকে দেওয়া শাপের কথা বলা হয়েছে |
৩. দ্বিবিধ লোক-ইহলোক এবং পরলোক
৫. ঋষি গৌতম কত্তৃর্কি ইন্দ্রকে দেওয়া শাপের কথা বলা হয়েছে |
৪. ধর্মের মহিমা
|
|
|
|
৩১.
|
ধর্ম দেয় সম্পদ, ধর্ম শ্রেয়্স্কর-তার চেয়ে
কি আছে জীবের হিতকর ? |
|
|
৩২.
|
ধর্মের চেয়ে শ্রেয় কিছু নেই-তাকে
ভোলাব চেয়ে হানি আর নেই | |
৩৩.
|
যত পারো তত আচরো ধর্ম-নিরন্তর
সেটেই হোক তোমার কথা ও কর্ম | |
৩৪.
|
মনের শুদ্ধিই ধর্মের সার-অন্য সব
শুধু বাহ্য আরম্বর | |
৩৫.
|
ঈর্ষা, লোভ, রাগ ও কটুকথা-এই চারটে
পরিহার করাই আরম্বর | |
৩৬.
|
ধর্মচরণ করো না স্খ্লন-কারণ
ধর্মই শেষ্কালের ড্রেঢে অবলম্বন | |
৩৭.
|
পালকি চড়ে একজন, আরেকজন তা বহন করে-বলের না
ধর্মের পথ এদের মাত্র একজনের তরে | |
৩৮.
|
করতে থাকো ধর্ম নিরন্তর-সেই
পুনর্জ্ন্মপথ রোধকরী পাথর | |
|
|
৩৯.
|
ধ্র্মপথেই লাভ হয় সুখ প্রকৃত-অন্য সব
কেবল দুঃখদায়ী এবং অপ্রশস্ত | |
|
|
৪০.
|
ধর্মাচরন মাত্র কর্তব্য-নিন্দনীয়
যা
অবশ্য তা পরিহর্তব্য | |
|
|
৫. গৃহস্থ জীবন
|
|
|
|
৪১.
|
যে করে গৃহস্থধ্র্ম আচরন-
সেই
অন্য তিন আশ্রমের অবলম্বন | |
|
|
৪২.
|
সন্ন্যাসী, দীনদরিদ্র ও পিতৃকুল-এই তিনটির
গৃহস্থৈ হল আশ্রয়্স্থল | |
|
|
৪৩.
|
পিতৃগণ, দেবতা, অতিথি, আত্মীয় এবং ব্যক্তি স্বয়ং-এদের
সেবাই গৃহস্থের ধর্মাচরন | |
|
|
৪৪.
|
অতিথিপরায়ন, নিষ্পাপ যার জীবন-অক্ষত থাকে
তার বংশ চিরদিন | |
|
|
৪৫.
|
স্নেহময়, ধর্মিক যে গৃহস্থ-কৃতার্থ সে
এবং তার জীবন প্রশস্ত | |
|
|
৪৬.
|
ধর্মভিত্তিক যার গৃহস্থ
জীবন-তার
অন্যান্য অনুষ্ঠানে কি প্রয়োজন | |
|
|
৪৭.
|
যে গৃহস্থ ধর্মনিষ্ঠ-সে
মুমুক্ষদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ | |
|
|
৪৮.
|
নিজে ধর্মবান, পরকেও প্রেরণা দেয়_এমন গৃহস্থ
তপস্বীদের সেরা গণ্য হয় | |
|
|
৪৯.
|
গৃহস্থ জীবন মাত্রই শ্রেষ্ঠ-অনিন্দ্য
হলে
সেটা অরো উত্কৃষ্ট | |
|
|
৫০.
|
গার্হস্থ্যে যার দৃঢ়
অবস্থান-লাভ করে সে
দেবতাদের মধ্যে স্থান | |
|
|
৬. গৃহিণীর মহিমা
|
|
|
|
৫১.
|
স্বামীর আয় অনুসার নির্বাহ করে যে গৃহিণী-গুণবতী
সেই আদর্শ সহধর্মিণী | |
|
|
৫২.
|
যতই প্রশস্ত হয় গার্হস্থ্য-অভাবে
সদগৃহিণীর তা সর্বৈব ব্যর্থ | |
|
|
৫৩.
|
অভাব কি যদি স্ত্রী থাকে গুণবতী!-অন্যথা
কিই প্রয়োজন সকল সম্পত্তি? |
|
|
৫৪.
|
সতে সাধ্বী স্ত্রে যদি থাকে-শ্রেয়্তর
তার চেয়ে কি আছে? |
|
|
৫৫.
|
ঈশ্বর অপেক্ষা স্বামীকে পূজা করে-কথায়
এমন সতীর বৃষ্টি নেমে পড়ে | |
|
|
৫৬.
|
স্বধর্মে অচলা, স্বামীসেবারতা-যে স্ত্রী
সেই সত্যিকার পতিব্রতা | |
|
|
৫৭.
|
কারার প্রহরার কি এমন ক্ষমতা?- নারীচরিত্রের
সংযমই প্রকৃত নিয়্স্তা | |
|
|
৫৮.
|
যে দত্তচিত্ত থাকে পতিসেবায়-দেবতাদেরও
সে সম্মান পায় | |
|
|
৫৯.
|
যার নেই নির্দোষ গার্হস্থ্য প্রাপ্তি-অসম্ভব তার পক্ষে
নিন্দুকের সামনে সিংহগতি | |
|
|
৬০.
|
শ্রেষ্ঠ গার্হস্থ্য পরম ভাগ্য-সত্জসন্তান লাভে
ঘটে আরো সৌভাগ্য | |
|
|
৭. সন্তান ভাগ্য
|
|
|
|
৬১.
|
প্রজ্ঞাবান সন্তানপ্রাপ্তি-এর চেয়ে
সেরা সৌভাগ্য নাস্তি | |
|
|
৬২.
|
সাতজন্মে ঘটবে না কোন অনিষ্ট-সন্তান
যদি হয় সত্যনিষ্ট | |
|
|
৬৩.
|
সন্তানই হচ্ছে প্রকৄত সম্পত্তি-কারণ
সন্তানের কাজেই পিতার সমৄদ্ধি | |
|
|
৬৪.
|
মাড়ও অমৄতের চেয়ে মিষ্ট-যদি তা
আপন শিশুর হস্তপিষ্ট | |
|
|
৬৫.
|
সন্তানস্পর্শে দেহ হয় পুলকিত-তার
কথা যেন কর্ণামৄত | |
|
|
৬৬.
|
বেণু ও বীণা মধুর বলে তারা-শোনে নাই
আপন সন্তানের কাকলি যারা | |
|
|
৬৭.
|
সমাজে পুত্রের শীর্ষস্থানপ্রাপ্তি-এই হল
পুত্রের প্রতি পিতার কর্ত্যব্য্পূর্তি | |
|
|
৬৮.
|
সকল জীব আনন্দ বোধ করে-তাদের সন্তান
যদি জ্ঞানে তাদের অতিক্রম করে | |
|
|
৬৯.
|
প্রসব ক্ষণের চেয়ে আনন্দ পায় মাতা-সে য্খন শোনে
তার পুত্রের কীর্তির কথা | |
|
|
৭০.
|
‘মহান তপস্যা করেছে এর পিতা’-এ কথাই
পিতার প্রতি পুত্রের কৃতজ্ঞতা | |
|
|
৮. প্রেম
|
|
৭১.
|
ভালবাসাকে আটকানো যায় কি অর্গলে?-প্রকট হয় তা
প্রেমিকদের চোখে অল্প অশ্রুজলে | |
|
|
৭২.
|
প্রেমবিহীনের
জীবন নিজের জন্যে-হাড়ও
প্রেমীর উত্সর্গিত পরের জন্যে | |
|
|
৭৩.
|
দেহের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন প্রাণের-তেমনি
প্রেমের সঙ্গে জীবনের | |
|
|
৭৪.
|
প্রেম থেকে জন্মায় পরে প্রীতি-তার থেকে
বন্ধুত্বের মহার্ঘ সম্পত্তি | |
|
|
৭৫.
|
প্রেমনের্দিষ্ট
আদর্শ-সুখী জীবনের
এইটেই উত্কর্স | |
|
|
৭৬.
|
অজ্ঞ বলে, ‘প্রেম শুধু ধর্মের স্বপক্ষে’-বাস্তবে
অধর্ম থেকেও সেই করে রক্ষে | |
|
|
৭৭.
|
ধর্মর আগুনে পোড়ে প্রেমহীন-বাস্তবে
অধর্ম থেকেও সেই করে রক্ষে | |
|
|
৭৮.
|
নিষ্ফল প্রেমহীন জীবন-মরুভূমিতে
পল্লবিত তরু যেমন | |
|
|
৭৯.
|
বাহ্য সৌন্দর্যের কি প্রয়োজন-হৃদয়ে
য়দি না থাকে প্রেমের সংযোজন | |
|
|
৮০.
|
প্রেমেই প্রাণের প্রকৄত আধার-তার বিহনে
মানুষ কেবল অস্থিচর্মসার | |
|
|
৯. অতিথ্য
|
|
|
|
৮১.
|
অতিথির
সাদর আপ্যায়ন-এতেই
সার্থক গৃহস্থজীবন | |
|
|
৮২.
|
অতিথিসেবায়
লাগে না ভোজ্য-তা
অমৃত হলেও তাজ্য | |
|
|
৮৩.
|
অতিথি
সেবায় তত্পর যে জনা-থাকে না
তার দারিদ্র্যবেদনা | |
|
|
৮৪.
|
স্মিত
মুখে য়ে অতিথি সেবা করে-সানন্দে
লক্ষ্মীর বাস তার ঘরে | |
|
|
৮৫.
|
যে জন
অতিথিসেবার পর অবশিষ্ট খায়-তার জমিতে
বিনা বীজেই ধান্য জন্মায় | |
|
|
৮৬.
|
অভ্যাগতের
সেবা সেরে আরো অতিথির পথ চেয়ে থাকে-এমন লোক
দেবতাদের প্রিয়্ভাজন হয়ে থাকে | |
|
|
৮৭.
|
অতিথিসেবার
ফলের ইয়্ত্ত-সেবার গুণে
মাপা হয় তা | |
|
|
৮৮.
|
অতিথিমুখ
যে সন্ঞ্ছয় করে ধন_তাকে
ভালবাসার থাকে না কোন জন | |
|
|
৮৯.
|
অতিথ্যবিমুখ
ধনীকে দরিদ্রই মানতে হয়-এই দোষ
মূর্খদের মধ্যে দেখা যায় | |
|
|
৯০.
|
শুকলেই
অনিচ্চ পুস্প শুকে যায়-বিরক্ত্তি দেখে
গৄহস্থের অতিথি মন ক্ষুণ্ণ হয় | |
বি.দ্র.
৯০. ‘অনিচ্চ’ হচ্ছে একটি অতিকোমল পুস্পবিশেষ | বলা হয় যে
সেটি এত কোমল যে তাকে শুকলে সেটি শুকে যায় |
৯০. ‘অনিচ্চ’ হচ্ছে একটি অতিকোমল পুস্পবিশেষ | বলা হয় যে
সেটি এত কোমল যে তাকে শুকলে সেটি শুকে যায় |
১০. মিষ্ট ভাষণ
|
|
|
|
৯১.
|
সত্যদ্রষ্টার
মুখের কথা-থাকে তাতে
নিষ্কপট প্রেম ও মিষ্টতা | |
|
|
৯২.
|
প্রফুল্ল
মনে দানের চেয়ে ভাল- স্মিতমুখে
মিষ্ট কথা বলা | |
|
|
৯৩.
|
হার্দ
এবং মিষ্টভাবে ব্যক্ত-যে কথা
সেইটেই ধর্মোপযুক্ত | |
|
|
৯৪.
|
যে সকলের
সংগে কথা বলে মিষ্ট-কোনদিন
তার ভুগতে হবে না কষ্ট | |
|
|
৯৫.
|
নম্রতা
ও মিষ্ট সম্ভাষণ-মাত্র
এই দুটি মানুষের ভূষণ | |
|
|
৯৬.
|
অধর্ম
নষ্ট হয়, ধর্ম বৃদ্ধি পায়-মংগল কামনায়
যদি হিত কথা বলা হয় | |
|
|
৯৭.
|
ভদ্র
ও সার্থক কথা বললে-তাতে
আনন্দ ও হিত দুইই ফলে | |
|
|
৯৮.
|
উদার
এবং মধুর বাক্যে-সুখ ফলে
ইহলোক ও পরলোকে | |
|
|
৯৯.
|
মিষ্ট
কথায় সুফল ফলে দেখে-তবু কেন
পরুষ কথা বলে লোকে | |
|
|
১০০.
|
মিষ্ট
কথা থাকতে কটু কথা বলা-তা যেন
পাকা ফল থাকতে কাঁচা ফল তোলা | |
No comments:
Post a Comment